অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজবাড়ী সদর উপজেলার ২নং দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ (৪৬) ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ সহ তার ছোট ভাই, বোন ও ছেলেসহ ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংগা নিজাতপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও চেয়ারম্যানের স্বজনরা জানান, রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি দেন সৌদি প্রবাসী আকবর খান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আকবর খানের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিংগা নিজাতপুর বাজারে অবস্থিত চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা চেয়ারম্যান, তার ছেলে ও চেয়ারম্যানের ভাইসহ ৭/৮ জনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
দাদশী ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী লুৎফা ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় সৌদি প্রবাসী আকবর খান এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্য আকবর খান ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন চালু করেছিল। আমার স্বামীও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করায় শেখ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন চালু করে। খুব অল্প সময়ে শেখ ফাউন্ডেশন মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে যায়। এ বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে আকবর খান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখের ছেলে রোহান শেখ বলেন, আকবর খানের বাহিনী সরাসরি আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাকে, আমার বাবাকে তারা মেরে ফেলার জন্য কাল এসেছিল। আমার পরিবারের ওপর যারা নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য আকবর খানের নেতৃত্বে কিছু মুখোশধারী সন্ত্রাসী আমার ও আমার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমি, আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে,আমার ছোট ভাই-বোনসহ ৭/৮ জন আহত হয়। মূলত আকবর খানের ছোট ভাই চেয়ারম্যান নির্বাচন করবে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য আমার ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। আমি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকবর খানের বক্তব্য নিতে তাকে একাধিকবার কল করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে দাদশীর চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রত্যেকের শরীরে জখম রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্র সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply